পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

By আসিফ ইকবাল বাদশা 

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কেমন, কোন কাজের চাহিদা বেশি, পর্তুগাল ভিসার আবেদন করার নিয়ম। 

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে বাংলাদেশের বহু লোক পর্তুগাল থাকে।অনেকে আবার নতুন করে যেতে চাচ্ছে। তাই আজকের আপনাদের জানাবো পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। আপনারা যারা পর্তুগাল যেতে চান তারা আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনুন্নত হওয়ায়, একটু সাবলম্বি হওয়ার বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায়।

পর্তুগাল দেশটি কেমন

পর্তুগাল হলো ইউরোপ মাহাদেশের একাটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এর আয়তন ৯২,৩৫৫ বর্গ কি.মি.। পর্তুগালের রাজধানীর নাম লিসবন।

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজার হাজার লোক ইউরোপ মহাদেশ তথা পর্তুগালে পাড়ি জমাচ্ছে। যার মূল কারণ পর্তুগালের জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশ থেকে বহু গুণে উন্নত এবং সেখানকার মোটা অংকের বেতন। 

ইটালি যাওয়ার খরচ কত জানুন

INDEX:

1.পর্তুগাল ভিসার ক্যাটাগরী।

2.পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। 

3.পর্তুগালের বেতন কত টাকা।

4.পর্তুগালে কোন কাজের লোকের চাহিদা বেশি।

5.পর্তুগাল ভিসার আবেদন করার নিয়ম।। 

6.পর্তুগাল ভিসার ফি।

7.পর্তুগাল যেতে সবচেয়ে কম খরচ কোন মাসে হয়

8. আমাদের শেষ কথা।

পর্তুগাল ভিসার ক্যাটাগরী

  • পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা।
  • পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
  • পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা।
  • পর্তুগাল মেডিকেল ভিসা।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে 

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে সেটা মূলত নির্ভর করবে ভিসার ক্যাটাগরি এবং মেয়াদের ওপর। এক এক ভিসার খরচ এক এক রকম। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে সাধারণত ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

কোন ক্যাটাগরীর ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে এখন আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার খরচ কত

পর্তুগালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পৃথিবীর অন্যান্ন দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক পর্তুগাল ভ্রমন করে। এছাড়া ও পর্তুগালে বিশেষ কিছু স্থাপনা আছে যা দেখার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে পর্তুগালে ভিড় জমায়।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে, টুরিস্ট ভিসায় খুব কম লোক ই যায়। যদি টুরিস্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কম আয়ের দেশগুলো থেকে বেশিরভাগ মানুষ পর্তুগাল যায় কাজের জন্য। কাজের জন্য পর্তুগাল যেতে হলে আপনাকে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে হবে। আর পর্তুগালের একাটি উল্লেখযোগ্য ব্যাবসা হল হোটেল/রেস্টুরেন্টেের ব্যাবসা। 

পর্তুগাল সরকার কাজের জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার লোক বাইরে থেকে আমদানি করছে। এখন পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে ৯-১০ লক্ষ টাকা লাগে। 

পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত

পর্তুগাল/ ইউরোপের যত প্রকার ভিসা আছে তার মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সবথেকে কম।পর্তুগালের পড়াশোনার মান অনেক উন্নত হওয়ায় অনেক মানুষ উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্তুগাল যায়।

তবে স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনাকে ভালো ইংরেজি জানতে হবে এবং একাডেমিক রেজাল্ট ও মোটামুটি ভালো হতে হবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার ০৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

পর্তুগাল মেডিকেল ভিসার খরচ কত

বাংলাদেশের চিকিৎসার মান খুব বেশি উন্নত না।  তাই উন্নত চিকৎসার জন্য অনেক মানুষ পর্তুগাল যায়। আপনি যদি মেডিকেল ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার  ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

পর্তুগালের বেতন কত টাকা

বর্তমান সময়ে পর্তুগালের সর্বনিন্ম বেতন ৭০৫ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় ৭০ হাজারের কিছু বেশি।

পর্তুগাল সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে তাদের দেশের সর্বনিন্ম বেতন ৯০০ ইউরো করা হবে। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লক্ষ টাকার ও বেশি হবে।

পর্তুগালে কোন কাজের লোকের চাহিদা বেশি

পর্তুগাল উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্বেও তাদের কাজের লোকের ভীষণ অভাব। আমি আগেই বলেছি পর্তুগাল সরকার প্রতি বছর বাইরের দেশ থেকে হাজার হাজার জনবল শ্রমিক হিসেবে আমদানি করছে।

এদের মধ্যে সবথেকে বেশি চাহিদা হলো হোটেল/রেস্টুরেন্টের কাজ, নির্মান শ্রমিক, ড্রাইভার, কেয়ারিং বয়, ক্লিনারের কাজ ইত্যাদি।

এছাড়া ও পর্তুগালে কম্পিউটার অপারেটরের ও প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

পর্তুগালের টাকার মান কেমন

পর্তুগালের টাকা/ ইউরোর মান অনেক বেশি। বর্তমানে ১ ইউরো সমান বাংলাদেশী ১১০ টাকার মত।

নোটঃ টাকা মান প্রতিনিয়ত কম বেশি হয়ে থাকে।

পর্তুগাল ভিসার আবেদন করার নিয়ম 

পর্তুগাল যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ভিসার দরকার হবে। দুই ভাবে পর্তুগাল ভিসার আবেদন করা যায়।

১. এজেন্সির মাধ্যমে পর্তুগালের কোন একটা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে।

২. আপনার কোন পরিচিত লোক, আত্মীয়- স্বজন বা কাছের কেউ পর্তুগাল থাকলে তার মাধ্যমে।

Specila Tips: পর্তুগাল যাওয়ার জন্য কোন এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ না করে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান অথবা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে সরাসরী আবেদন করবেন। 

এতে আপনার খরচ অনেক কমবে এবং বৈধ ভাবে ও পর্তুগাল যেতে পারবেন।

এছাড়া ও আপনি পর্তুগাল যাওয়ার জন্য পর্তুগাল ভিসা এজেন্সি

https://lisbon.mofa.gov.bd/ 

ওয়েবসাইটে ভিজিট করে, আবেদন এবং বিস্তারিত অনেক তথ্য জানতে পারবেন। 

পর্তুগাল ভিসার ফি কত

বর্তমানে পর্তুগাল পাসপোর্টধারীদের জন্য ফি বাবদ

  • সিঙ্গেল এন্ট্রি- ৩০ ইউরো
  • মাল্টিপল এন্ট্রি -৯০ ইউরো
  • নো ভিসা রিকয়ার্ড- ৫০ ইউরো ধরা হয়।

পর্তুগাল যেতে সবচেয়ে কম খরচ হয় কোন মাসে 

নভেম্বর থেকে মার্চ মাস হলো পর্তুগাল যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ এ সময়ে খরচ ও কম হয় আর ভিড় ও কম থাকে পর্তুগালে।

শেষ কথাঃ বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। কোন দেশে যাওয়ার পূর্ব সে দেশে যাওয়ার খরচ সম্পর্কে প্রত্যেকের ই জানা দরকার।

আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url